কবিতা

ঘোড়া সম্পর্কিত দু-চার কথা



চিরঞ্জীব হালদার


আপনি কখন কখন ঘোড়ায় চাপবেন এটা পূর্ব নির্ধারিত নয়।

স্ফীত মনুষ্যকূল যখন আপনাকে কুশল বিনিময় করতে ভুলে যাবে।

মুখরা লংকামাসী বেছে বেছে পুরুষ লংকা আপনার ব্যাগে ভরে দেবে।

আপনার মুদ্রাদোষগুলো কারো কারো কাছে অক্সিটোসিন বঙ্কিমচন্দ্র।

এই সত্য অনুভূত হওয়ার পর আপনি পাঁচ নম্বর সার্কাসবাবু লেন কোথায় তা তন্নতন্ন করে খুঁজতে চাইবেন।

তখনই আপনার এক জেদি ও মাদি ঘোড়ার দরকার হতে পারে।

আপনি কখনো আলোর খোসা ছাড়াতে গিয়ে নাজেহাল। আপনার অপশন বলতে প্রাচীন ছুরি আর প্রস্তরযুগের শিলনোড়ার সঙ্গে নিস্তরঙ্গ আপনার শান্ত দন্তমণ্ডলী।

কোন শব্দ করা চলবে না। কোন হাহাকার করা চলবে না। প্রয়োজনে নুনের সাহায্য নিলেও এক চামচের বেশি নয়। হিংস্র ক্ষুধা চাগাড় দেওয়ার আগে আলুভর্তার প্রকৃত মহিমা ও তার উৎসেচক গুণগান প্রস্তুতির আগে এক চক্কর ঘোড়ায় চাপতে পারেন।

তবে ঘোড়া থেকে নামার পর কে আপনার ধ্বংসাত্মক সাক্ষাৎকার নিতে পারে ভেবে দেখুন।

চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।