কবিতা

মালতীনগর-১



তৌফিক জহুর


উপরে তাকালে একটা আকাশ দেখি
কখনও নীল কখনও গোলাপি
কতটুকু দেখি ঐ আকাশ
এই যে নীচে বয়ে যায় কৈশোরের করতোয়া
ঢেউগুলো গুণে রেখে দিয়েছি নীল পাঞ্জাবির পকেটে
যে বটগাছটা হুড়মুড় করে করতোয়ার পাড় থেকে
একদিন শিকড় ছিঁড়ে আছড়ে পড়ল জমিনে
অবাক হয়ে দেখেছি তার বিলয়
কত পাখির বাসা সেদিন হয়েছে বিলীন
চাঁদমারী ঘাট আর লালো মাঝি হয়ে যায়
স্মৃতির হার্ডডিস্কে লুকিয়ে থাকা সোনালী অতীত
মহিষের ঘাস খাওয়ার সেই বালকবেলা
বারবার ফিরে আসে স্মৃতির পালকি চেপে
করতোয়ার পাশে কদম গাছের নীচে বসে
আজো কি বাঁশি বাজায় আমাদের পাড়ার শাজাহান
এখনও কি সাইকেলের টায়ার চালিয়ে
কেউ চিৎকার করে বলে 'লই নিবেন লই...'
বড়ো শুনতে ইচ্ছে করে
স্মৃতির আয়নায় ভেসে ওঠে
চুড়ি ফিতা লিপস্টিক বহন করা কানু কাকার
চলমান মার্কেট 'লাগবে চুড়ি ফিতা দুল...'
নিজের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে নিজেই
নতজানু হই।

আহা! মালতীনগরে কৈশোরের ঘুড়ি ওড়ানো
গোলাপি বিকেলগুলো বারবার হাতছানি দেয়।