কবিতা

শূন্য



ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায় (অদ্রিজা)


শূন্যের ভর বেড়ে সংখ্যাতত্ত্বের পূর্ণতায় পা বাড়ালে
সে ভগ্ন পথিকের বোঝা হয়ে ওঠে।
মনের কোণে বসিয়ে চলি শূন্যতা
সেখানে বেড়েই চলে অন্ধকার
সংখ্যার পাশে যদি বসাতে চাই শূন্য সেখানেই প্রাপ্তি মূল্যায়নে খেলা করে।
হাজারো তোমার প্রশ্ন কৈফিয়তের হাঁড়ি কাঠে
আমি কোথায় রাখি দেহ কোথায় রাখি মাথা!
হারিয়ে যায় শব্দ তবুও গজিয়ে যায় পাতা।
ঝুরি নামে মাটি ছোঁয়, গাছের পাশে গাছ হাত ধরাধরি করে
আমি শূন্যের দোলায় দোল খেতে খেতে
বলির পাঁঠার সিঁদুর মুছে ফেলি,
বিশুদ্ধ মন্ত্রে শান দিতে দিতে চলি আর বলি
আমি বাঁচতে শিখে গেছি, বাঁচতে পারি
তাতে তোমারও সায় আছে
সে পূজোয় তুমিও মন্ত্র জপে চলো শুধু
পুজোর আয়োজনে নৈবেদ্যের জায়গাটা শূন্যই রয়ে যায়।

চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।