স্থানীয় খবর

  • শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, শুক্রবার, বিকেল ৫-৩০টায় রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে সঙ্গীতাচার্য অমিয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯৯তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে শিষ্য, প্রশিষ্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মুখ্য আয়োজকের ভূমিকায় ছিলেন পন্ডিত সমর সাহা। প্রধান ও সূচনাকারী বক্তা হিসেবে তিনি তাঁর গুরুদেবের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

গুরুবন্দনায় অংশ নেন বনিকা সরকার। কণ্ঠসঙ্গীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন নন্দিনী চক্রবর্তী। এরপর সঙ্গীতাচার্য অমিয় রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্মের ওপর 'চরৈবেতি' নামের একটি তথ্যচিত্র পরিবেশিত হয়। পরিচালনায় ছিলেন মৃন্ময় নন্দী। অত্যন্ত মনোগ্রাহী এই তথ্যচিত্র থেকে সঙ্গীতাচার্যের জীবনের অনেক অজানা কাহিনী জানা যায়। জানা যায়, নিয়মানুবর্তিতার আরেক নাম অমিয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাবা সত্যকিংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর সঙ্গীত শিক্ষাগুরু। বাবার কাছ থেকে কণ্ঠসঙ্গীত ও সেতারের তালিম নেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র কণ্ঠসঙ্গীতেই আবদ্ধ ছিলেন। মূলত বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী ছিলেন। এই ঘরানাকে আরও জনপ্রিয় করতে, কিরাণা ঘরানার সংযোজন করেন।

পরিশেষে এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ৯৯ বছরের যুবকের কণ্ঠসঙ্গীত নিবেদন। মাত্র ৫৫ মিনিটের একটি রাগ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। উপছে পড়া প্রেক্ষাগৃহের শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সুরসাগরে অবগাহন করলেন। সঙ্গীত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠল। মনে হলো, এক দিব্যকান্তি পুরুষের সঙ্গীত মূর্ছনায় শ্রোতারা এক লহমায় আবিষ্ট হয়ে গেল। গুরুজীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন গোবিন্দ চক্রবর্তী, সৌমেন নন্দী; হারমোনিয়মে ছিলেন শুভ্রকান্তি চট্টোপাধ্যায় ও শ্রীদীপ মন্ডল।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করলেন মেঘনা নন্দী। উপস্থিত দর্শক, শ্রোতারা এত উচ্চমানের শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।


  • 'মনের মিলন'-এর উদ্যোগে চিত্রকর্মশালা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা 'মনের মিলন'-এর উদ্যোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রবিবার, সকাল ১০টায় প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বাদল পাল মহাশয়ের বাড়িতে এক বৃহৎ চিত্রকর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সারাদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বহু চিত্রশিল্পী তাঁদের মনের আবেগ ক্যানভাস-এ ছড়িয়ে দিয়েছেন। 'আনন্দ বসন্ত সমাগম' নামক বিমূর্ত ভাবনার সফল রূপদান করতে বহু মানুষের সমাগম হয়।

এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সকলের পরমপ্রিয় বিধায়ক ও অগ্নিনির্বাপন দপ্তরের মন্ত্রী মাননীয় সুজিত বোস মহাশয়, যিনি সর্বদা 'মনের মিলন'-এর পাশে থাকেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুর নিগমের মহানাগরিক মাননীয়া কৃষ্ণা চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্র সমালোচক প্রশান্ত দাঁ ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বাদল পাল মহাশয়।

আরো বহু বিশিষ্ট শিল্পী, যেমন বিশ্বজিৎ সাহা, অশোক গাঙ্গুলী, সর্বাণী গাঙ্গুলী, স্বপন কুমার ঘোষ প্রমুখ ছাড়াও দক্ষিণ দমদমের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত, সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও আনন্দরূপ পাল সহ আরো বহু গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষভাবে শিল্পী তাপস সরকার ও আশিস সামন্ত মহাশয়ের উপস্থিতি প্রাণিত করে নতুন শিল্পীদের।

আরো যে সব আর্টিস্টরা ছিলেন, তাঁদের অন্যতম আকাশ চ্যাটার্জি, আলোকিতা ভট্টাচার্য, অন্বেষা মল্লিক, অন্তরা উপাধ্যায়, বাপ্পা ভৌমিক, দীননাথ সাহা, কঙ্কনা ঘোড়ুই, মধুমিতা রায়, নির্মলেন্দু মন্ডল, সঙ্গীতা দাস, রাজর্ষি দত্ত রায়, ঋতুপর্ণা চন্দ্র, সঞ্জীব গুরে, শান্তনু বেজ, সপ্তর্ষি নন্দী, স্নেহেন্দু পাল, সৌরভ বসু, সৌভিক দাস, সুমিতা বিশ্বাস, তপন পাঠক, শংকর ভৌমিক, প্রসেনজিৎ নাথ, শ্যামশ্রী লাহিড়ী, রাজু কুমার দাস, অর্পিতা দত্ত, সানন্দা মল্লিক, সোনিয়া জয়সোয়াল, শইলি ঘোষ, তন্ময় ভৌমিক ও শ্যামল নাথ।

এতো শিল্পীদের সাগ্রহ উপস্থিতির অন্যতম কারণ দক্ষ সংগঠক ও 'মনের মিলন'-এর সম্পাদিকা শ্যামা দাসের নিরলস পরিশ্রম। তাঁকে সক্রিয়ভাবে নিরন্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন শিল্পী মলয় দাস।

শিল্পীরা সারাদিন ধরে অসাধারণ কাজ করেছেন, তাঁদের সকলের অশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। গল্প, আড্ডা, ছবি বিষয়ক আলোচনা ও খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে, সারাদিন বসন্তের উদাস বাতাস মাতিয়ে রেখেছিল এ দিনের অনুষ্ঠান।


  • 'জি' ব্লকের উদ্যোগে চড়ুইভাতি

সংবাদদাতা - সুবীর বসুঃ করুণাময়ী 'জি' ব্লকের বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে বিগত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, সকাল ৭:৩০টায় 'জি' ব্লকের ক্যাম্পাস থেকে আবাসিকদের নিয়ে দুটি বড় বাস যাত্রা শুরু করে। বার্ষিক বনভোজন এবারেও মহা উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হল হুগলী জেলার গুড়াপের বিরাট এক বাগানবাড়িতে! ব্লকের প্রায় ৭৫ জন অধিবাসী দুটি লাক্সারি বাসে করে ২-৩০ ঘন্টা যাত্রা করে সকাল ১০:১৫-র মধ্যেই নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলেন! আগে থেকেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কমিটির সহ সম্পাদক ভাস্কর সেন ও সদস্য অলোক দাসগুপ্ত গরম প্রাতরাশের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন! তারপর গরম কফিপানের পর নানারকম খেলার ব্যবস্থা করা হয়। সবার অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়! 'জি' ব্লকের অন্যতম প্রবীণ সদস্য সুদীপ ধর মহাশয় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোর বিচারকের আসনে ছিলেন!

দ্বিপ্রহরে সুস্বাদু ভোজন সবাই খুব উপভোগ করেছেন! পরপর দুটি আকর্ষণীয় ক্যুইজ অনুষ্ঠিত হয়, পরিচালনা করেন বর্ষীয়ান সদস্য সুনীতি রঞ্জন চ্যাটার্জী ও অমিত দাসগুপ্ত! সবাই দারুন উপভোগ করেছেন এই প্রতিযোগিতাটি! এর পর পুরস্কার বিতরণী উৎসবের পর বনভোজনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে সম্পাদক প্রশান্ত ঘোষের ধন্যবাদ সূচক ভাষণের মধ্য দিয়ে!

উদ্যোক্তাদের তরফে আগামীদিনে আরও ভালো করে বনভোজনের আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পথে সকলেই বলেন, "আসছে বছর আবার হবে"।


  • মাদপুর শহীদ মেলা, ২০২৫

সংবাদদাতা - সমীরণ ভৌমিকঃ ৩১শে জানুয়ারি, শুক্রবারের পুণ্য প্রভাতে নতুন আঙ্গিকে চির ঐতিহ্যমন্ডিত উৎসব মাদপুর 'শহীদ মেলা' আয়োজিত হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্ববৃহৎ মেলা, মাদপুর 'শহীদ মেলা' এবারে ২৬তম বর্ষে পদার্পণ করে। আজ থেকে ২৫ বছর আগে এই মেলা অনুষ্ঠানটির শুভারম্ভ হয়েছিল।

মাদপুর 'শহীদ মেলা' অনুষ্ঠানটি আজ ৩১শে জানুয়ারি শুক্রবার থেকে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। আজকের অনুষ্ঠান আরম্ভ হওয়ার আগে 'শহীদ মেলা'র বেদীতে পুষ্পস্তবক প্রদান, পতাকা উত্তোলন ও আতশবাজি সহকারে মাদপুর 'শহীদ মেলার' চিরাচরিত ঐতিহ্য পালন করা হয়। 'শহীদ মেলা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মাদপুর মেলা উৎসবের শুভসূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি (আইপিএস) মাননীয় ধৃতিমান সরকার, ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি। উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি আধিকারিক মাননীয় সুব্রত ঘোষ (W.B.C.S. - Executive), মেলায় উপস্থিত ছিলেন মাননীয় অজিত মাইতি মহাশয় (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিধায়ক ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাধিপতি ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান)। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন 'শহীদ মেলা' কমিটির সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিশ্বজিৎ মুখার্জি মহাশয়। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক প্রাবন্ধিক ও ভিন্নস্বাদের সংবাদদাতা সমীরণ ভৌমিক মহাশয় এবং উপস্থিত ছিলেন মাদপুর স্টেশনের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মাননীয় আব্দুল সাকিল মহাশয়। উক্ত মঞ্চে মাননীয় এসপি সাহেব এবং শহীদ মেলার প্রাণপুরুষ এবং বিধায়ক অজিত মাইতি মহাশয় শহীদ মেলার সম্বন্ধে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

মাননীয় সমীরণ ভৌমিক (প্রাবন্ধিক) বিশ্ব মহামানব স্বামী বিবেকানন্দের অমৃত বাণী দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। "জীবনে এসেছ যখন একটা দাগ কেটে যাও" এবং মেলা সম্বন্ধে দু'চার কথা ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সদা থাকো আনন্দে সংসারে, নির্ভয়ে, নির্মল প্রাণে। জাগো প্রাতে আনন্দে, করো কর্ম আনন্দে' ছোট্ট কবিতাটি আবৃতি করেন এবং কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'বিদ্রোহী' কবিতাটি পাঠ করে শোনান। উক্ত দিন রাত্রে অনুষ্ঠিত হয় 'ফেমাস মিউজিকাল ব্যান্ড '। প্রতিদিন ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ, যেমন রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রবীন্দ্র নৃত্য প্রতিযোগিতা, নজরুল নৃত্য প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

প্রতিদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল কলকাতার বিখ্যাত চলচ্চিত্র শিল্পীরা, মুম্বাই থেকে এসেছিলেন মূলত খল চরিত্রাভিনেতা গুলশন গ্রোভার, সুবিখ্যাত সংগীত শিল্পীরা, 'জি বাংলা' এবং 'সারেগামাপা' খ্যাত শিল্পী, 'ইন্ডিয়ান আইডল' খ্যাতা শিল্পী অনুষ্কা ব্যানার্জি প্রমুখ। এছাড়াও কলকাতার সুবিখ্যাত সামাজিক যাত্রাপালাও 'শহীদ মেলায়' অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১শে জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলাকে কেন্দ্র করে বহু রকমের দোকানপাট, স্টল, নানা রকমের খাওয়ার দোকান, গৃহস্থালী জিনিসপত্র ও জামাকাপড়ের দোকানের এলাহি ব্যবস্থা ছিল। সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ঢল শহীদ মেলাকে 'জনগনের মিলন মেলায়' পরিণত করে দেয়। ধ্বনিত হয়েছে "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই"। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ মানব সম্পদে, মানব মেলবন্ধনে অনুষ্ঠিত হয় এই মাদপুর "শহীদ মেলা"।


  • আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলায় 'সমন্বয়'

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলায় এই প্রথম 'সমন্বয়' ই-পত্রিকা উপস্থিত ছিল। ই-পত্রিকা হওয়ার দরুন পাঠকদের হাতে সরাসরি পত্রিকা তুলে দেবার সুযোগ না থাকায় মেলার মাঠে পত্রিকার কোনো নির্দিষ্ট স্টল ছিল না। একটি স্ট্যান্ডিতে পত্রিকার বিবরণ ও কিউ আর কোড সহ ভ্রাম্যমান অবস্থায় সম্পাদক ও পত্রিকার সঙ্গে জড়িত সদস্যরা মেলার মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। সেখানেই বহু উৎসাহী পাঠক-পাঠিকা ও লেখকদের সাথে তাঁদের মত বিনিময়ের সুযোগ ঘটেছিল। উৎসাহীরা অনেকেই স্ট্যান্ডিতে ছাপানো কিউ আর কোড মোবাইলে স্ক্যান করে প্রথমবার পত্রিকা অনলাইনে দেখতে পেরে রোমাঞ্চিত হয়েছেন। অনেকের আবার বাড়ি ফেরার তাড়া থাকায় তাঁরা তৎক্ষণাৎ দেখতে না পেরে পরে বাড়ি ফিরে নিশ্চিন্তে পত্রিকা উলটেপালটে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকের কাছেই সেটি ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের দেশে তথা রাজ্যে সাধারণত পাঠকরা ছাপানো পত্রিকা হাতে নিয়ে দেখতেই অভ্যস্থ। এর পাশাপাশি 'সমন্বয়' পত্রিকা 'paperless' বা কাগজবিহীন হওয়ায় অনেক পরিবেশপ্রেমীরা পত্রিকার সঙ্গে জড়িত সদস্যদের উৎসাহিত করেছেন।

মেলার মাঠে কোনো এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে ভ্রাম্যমান থাকায় বহু মানুষের সঙ্গে পত্রিকা-সদস্যদের মত বিনিময়ের মাধ্যমে পত্রিকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটে। যা পত্রিকা-সদস্যদের কাছে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে ধরা দেয়।

মেলা শেষে পরিসংখ্যান হিসেব করে দেখা যায় প্রায় সাড়ে সাতশো নতুন পাঠক-পাঠিকা পত্রিকা দেখেছেন। সংখ্যাতত্বের এই হিসেব থেকে উৎসাহিত হয়ে পত্রিকা-সদস্যরা আগামী বছরও আরও বিস্তৃত ও সুচারুভাবে কলকাতা পুস্তক মেলায় অংশগ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।